
প্রতিবেদক: Md. Alak Hossain | ক্যাটেগরি: বৃহত্তর কুমিল্লা | প্রকাশ: 24 Jun 2025, 9:33 AM

মেঘনার অব্যাহত ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ৩ জেলার ১৫ কি. মি.এলাকাসহ ফসলি জমি

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ
প্রমত্তা মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ তিনটি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। গত পাঁচ বছরে মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে ১৫ কিলোমিটার এলাকা। ব্রহ্মণবাড়িয়া-কিশোরগঞ্জ- নরসিংদী এলাকায় ভাঙ্গনের খেলা চলছে গত ৪০ বছর ধরে । প্রতি বছর দু/একটি গ্রাম গ্রাস করে চলছে সর্বগ্রাসী মেঘনা ,বাড়ছে উদ্বাস্ত ও ছিন্নমূল এর সংখ্যা। ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে অসংখ্য পরিবার ,নিঃস্ব পরিবার গুলো আজ বহু কষ্টে দিন যাপন করছে। ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নবীনগরে ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে-বাইশমৌজা, গাছতলা, চর কেদেরখলা, দূর্গারামপুর ,নয়াহাটি, মানিকনগর, নাসিরাবাদ, ধরাভাঙ্গা, কোনাপাড়া সহ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার- উলুকান্দি, পশ্চিম দরিয়াদৌলত, তেজখালী প্রভৃতি ইউনিয়নের আটটি গ্রামের অস্তিত্ব বর্তমানে চরম হুমকির সম্মুখীন। নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার- সওদাগরকান্দি, চরমোদ্দা, মির্জ্জরচর , শান্তি নগর ,নীলক্ষী গ্রামের অন্তত ৫ হাজার অধিবাসীর বাড়ি ঘর বিলীন হয়েছে। নরসিংদী জেলার করিমপুর ,নজরজলদি ,আলমপুর সহ ১৫টি গ্রামের হাজার হাজার পরিবারের ভিটামাটি হারিয়ে গেছে নদী গর্ভে। কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার কয়েকটি গ্রাম বিলীন হতে যাচ্ছে। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে আগামী দুই/এক বছরের মধ্যে নবীনগর উপজেলার দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার সহ আরো কয়েকটি গ্রাম বিলীন হয়ে যাবে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এই ভাঙ্গনের ভয়াবহতা চরম আকার ধারণ করে। এ দিকে নদী ভাঙ্গনের উভয় পাড়ের এলাকাবাসী জানান- মেঘনা নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উওোলন করায় মেঘনা নদী বেশী করে ভাঙ্গছে। গত বছর নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের সোনা বালুয়া গ্রামটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এই ভাঙন রোধে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা জাতীয় সংসদে কয়েক বার ভাঙ্গণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ জরুরি প্রদক্ষেপ গ্রহণ ও পুনর্বাসন এর আবেদন জানানো হলে । গত দুই বছর আগে শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাসিরাবাদ হতে মানিকনগর বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ দেওয়া হয়েছে এবং নুরজাহানপুর- মুক্তারামপুরে ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এদিকে মেঘনা পাড়ের এলাকাবাসী জানান, সরকারের জরুরি প্রদক্ষেপ নিয়ে পুনর্বাসন দিয়ে তাদেরকে বাচিয়ে রাখার জন্য।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
অন্যান্য খবর

কাজের জন্য যত টাকা বরাদ্দ দিয়েছে তার যথাযথ প্রয়োগ হতে হবে-হ...
মোঃ ফখরুল ইসলাম সাগরকুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবিদ্বার সদর অংশে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের অধীন...

বাঞ্ছারামপুরে কাঁঠালের বাম্পার ফলনেও হতাশ চাষীরা, একটি কাঁঠ...
বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি কৃষক রুমন মিয়া (২২) সফিরকান্দি (২৫ জুন,বুধবার) ৫ টি মাঝারি সাইজের...

লালমাইয়ে ৯'শ কৃষক পেল সার ও বীজ
লালমাই প্রতিনিধিকুমিল্লার লালমাইয়ে প্রান্তিক কৃষকদের সহায়তার লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় বিনা...

তিতাসে ৩০ অসহায় পরিবারকে ছাগল বিতরণ
তিতাস প্রতিনিধিকুমিল্লার তিতাসে কর্ম তৎপরতার জন্য আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী অসহায় ৩০টি পরি...

চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৭৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধিচৌদ্দগ্রাম পৌরসভার২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের৭৬ কোটিটাকারনতুনবাজেট ঘোষণাকরাহয়েছে। বুধবা...

চৌদ্দগ্রামে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ
চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধিচৌদ্দগ্রামে যৌতুকেরটাকার দাবিতেশাহিদা বেগমনামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনকরাহয়েছে।...
