
প্রতিবেদক: Raisul Islam Shohag | ক্যাটেগরি: জাতীয় | প্রকাশ: 8 Oct 2025, 12:13 PM

হঠাৎ আলোচনায় সেফ এক্সিট
সময়ের ক্যালকুলেটরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আছে মাত্র তিন মাস। অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম এজেন্ডায় রয়েছে এ নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টা একাধিকবার বলেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধেই অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই হিসেবে রাজনীতির মাঠ এখন অনেকটা নির্বাচনমুখী। আসনভিত্তিক সমাবেশ, গণসংযোগ শুরু করেছেন দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। ঠিক এমন মুহূর্তে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক, সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছেন। তাঁরা এখন নিজেদের সেফ এক্সিট বা নিরাপদ প্রস্থান নিয়ে ভাবছেন।’
নাহিদ ইসলামের এ মন্তব্যে মুহূর্তে রাজনৈতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়ে উত্তাপ। টেলিভিশনের টক শো ও সমাজমাধ্যমে শুরু হয় ব্যপক আলোচনা। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে নাহিদের মন্তব্য নিয়ে কথা বলছে। নানান আলোচনা হচ্ছে সরকারের ভিতরেও। আলোচনার পাশাপাশি অনেকে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের যুক্তি, নাহিদ ইসলাম একসময় ছিলেন সরকারের ভিতরের লোক। পরে সরকার থেকে বেরিয়ে এলেও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে সরকারসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে। তাঁর কাছ থেকে যখন এ ধরনের মন্তব্য আসে তখন সেটা নিঃসন্দেহে গুরুত্ব পায়।
সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম আরও বলেছেন, ‘উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছেন। তাঁরা নিজেদের সেইফ এক্সিটের কথা ভাবতেছেন। এটা আমাদের অনেক পোহাতে হচ্ছে এবং পোহাতে হবে। কিন্তু তাঁরা যদি এটা বিশ্বাস করতেন যে তাঁদের নিয়োগকর্তা ছিল গণ অভ্যুত্থানের শক্তি, রাজপথে নেমে জীবন দেওয়া ও আহত সাধারণ মানুষজন এবং তাঁরা যদি তাঁদের ওপর ভরসা করতেন, তাহলে উপদেষ্টাদের এ বিচ্যুতি হতো না।’ নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের পর গতকাল একই ইস্যুতে আরও আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘কিছু উপদেষ্টার মধ্যে দেখা যাচ্ছে, তাঁরা কোনোভাবে দায়সারা দায়িত্ব পালন করেন, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এক্সিট নিতে পারলেই হলো, দেশে থাকুক আর দেশের বাইরেই থাকুক। এ দায়সারা দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অভ্যুত্থান-পরবর্তী একটি সরকার কাজ করতে পারে না। তাঁরা এত শহীদ, রক্তের ওপরে দাঁড়িয়ে ওখানে (সরকারে) আছেন। তাঁরা যদি এমনটা করে থাকেন, তাহলে দেশের মানুষের সামনে মুখ দেখাতে পারবেন না। যাঁরা এ ধরনের চিন্তা করেন তাঁদের জন্য মৃত্যু ছাড়া কোনো সেফ এক্সিট নেই। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাক বাংলাদেশের মানুষ তাঁদের ধরবে।’
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
অন্যান্য খবর
পদত্যাগে বাধ্য করানো এমপিও শিক্ষকদের বেতন ভাতা চালুর নির্দেশ
জোর করে পদত্যাগ করানো এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও অন্য শিক্ষক-কর...

ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদক সেবন করে মা বাবাকে মারধর করায় যুবকের ছয় ম...
মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণপাড়া মাদক সেবন করে পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি ও মা–বাবাকে মারধরের অভিযো...

ব্রাহ্মণপাড়ায় সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ায় এক ব্যাক্তির ১০ দিনের...
নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণপাড়াকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে ঝাড়ু মিয়া নামে...

ব্রাহ্মণপাড়া ইউএনওর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অ...

মুরাদনগরে ৪ লাখ টাকার জাল ধ্বংস ও লক্ষাধিক টাকা জরিমানা
বেলাল উদ্দিন আহাম্মদকুমিল্লার মুরাদনগরে মৎস্য শিকারে ব্যবহৃত ৪ লাখ টাকার অবৈধ কারেন্ট ও রিং জাল জব্দ...

ঢোলভাঙ্গা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ ১০ বছরের শিশু, খোজ মেলেনি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে তিতাস নদীর শাখা ঢোলভাঙ্গা নদীতে আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে গোসল করত...
