
প্রতিবেদক: Md. Alak Hossain | ক্যাটেগরি: বৃহত্তর কুমিল্লা | প্রকাশ: 1 Jun 2025, 1:00 AM

হাটু পানিতে বসে পরীক্ষায় অংশ নিল শিক্ষার্থীরা

মাহফুজ নান্টু
কোথাও হাটু সমান, কোথাও কোমড় সমান পানি। এমন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলো ১৪ হাজার শিক্ষার্থী। কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে অপেক্ষামান অভিভাবকরাও চরম দুর্ভোগে পড়েন জলাবদ্ধতার কারনে। শনিবার সরেজমিনে ভিক্টোরিয়া কলেজ ক্যাম্পাস ঘুরে এমন চিত্র পরিলক্ষিত হয়।
কলেজটির বিভিন্ন হলে গিয়ে গিয়ে দেখা যায়, হাটু পানিতে বসে আছেন শিক্ষার্থীরা, অনেকের কোমড় পর্যন্ত ভিজা, এর মাঝে শিক্ষকরা প্রশ্নপত্র বিতরণ করছেন।
কলেজের কলা ভবনের নিচতলার ৫টি পরীক্ষার কক্ষ, বিজ্ঞান ভবনের নিচতলার পরীক্ষার কক্ষগুলো মিলিনিয়াম ভবন, বিজ্ঞান ভবন ২ ও অর্থনীতি ভবনের নিচতলার পরীক্ষার কক্ষগুলোতে হাটু পানি আছে। এর মাঝেই বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও কলেজের প্রবেশপথ, অশোকতলা রেলগেট এলাকা ও ধর্মপুরের তিনটি ফটকেই হাঁটু পানি দেখা গেছে। কলেজের ভিতরে কলাভবন, অর্থনীতি ভবন ও প্রশাসনিক ভবনের সামনের অংশসহ পুরো ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছে ভর্তি-ইচ্ছুক পরিক্ষার্থী ও তাদের সঙ্গে আসা অভিভাবকরা। কুমিল্লার লাকসাম থেকে আসা আছমা আক্তার নামের এক পরীক্ষার্থী জানান, স্বপ্ন নিয়ে ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছি। কিন্তু এখানের জলাবদ্ধতার কারণে পরীক্ষা দিতে বেশ অসুবিধা হয়।
ওই শিক্ষার্যেথী জানান, তিনি যে হলে পরীক্ষা দিয়েছেন সেটি কলা ভবনের নিচের তলায়। রুমের মধ্যে হাটু সমান পানি ছিলো। এ পানির মধ্যে পরীক্ষা দিতে হয়।
লালমাইয়ের ভুশ্চি বাজার এলাকা থেকে আসা পরীক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ জানান, পরীক্ষা আশানুরূপ ভালো হইছে, কিন্তু পানিতে এলার্জির সমস্যা থাকায় কাঙ্ক্ষিত পরীক্ষাটা দিতে পারিনি।
চৌদ্দগ্রাম থেকে আসা সৌরভ জানান, কলেজের এ জলাবদ্ধতার সম্পর্কে আমরা অবগত ছিলাম না। পুরো কলেজেই পানি। পরীক্ষার হলেও হাটুসমান পানি। পানিতে পোকামাকড় থাকায় পরীক্ষার পুরো মনোযোগ নষ্ট হয়ে গেছে।
ভর্তি পরীক্ষার্থী মেয়েকে নিয়ে আসা কুমিল্লা নাঙ্গলকোটের হাসানপুর এলাকার কলেজ শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, মেয়েকে ভর্তি পরিক্ষার জন্য নিয়ে এসেছি। মেয়ের পরীক্ষা কক্ষের মধ্যে হাটু সমান পানি ছিলো, এ পানিতে বসে পরীক্ষা দেওয়ায় মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। যাওয়ার পথে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। মেয়ের পরীক্ষা কেমন হইছে জানতে চাইলে তিনি জানান যে পরীক্ষা আশানুরূপ ভালো হইছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল খালেক বলেন, গত ২০ বছর ধরে কলেজ ক্যাম্পাসে বর্ষা মরসুম এলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আমরা বািরে থেকে শুনি জলাবদ্ধতা নিরসনে বাজেট আসে, সে বাজেটের বাস্তবায়ন দেখি না।
কলেজটির শিক্ষক ও একাধিক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, গেলো কয়েক বছর ধরে কলেজটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী কোন পদক্ষেপ নেই।
জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল বাশার ভূঁঞা বলেন, কলেজের জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা মাস্টার প্ল্যান করছি। দ্রুতই এ সংকট নিরসনে কলেজ প্রশাসন কার্যকর ভূমিকা পালন করব।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
অন্যান্য খবর

কুমিল্লায় দুটি করোনা আইসিইউ ইউনিটে মেশিন অচল- সংকট লোকবলের
মাহফুজ নান্টুকরোনার ভয়াবহতা ভুলেনি বিশ^বাসী। তার মাঝে আবারো নতুন শক্তি নিয়ে চোখ রাঙ্গাচ্ছে করো...

নতুন ভ্যারিয়েন্টে কুমিল্লায় চার জনের করোনা শনাক্ত
জাহিদ পাটোয়ারীনতুন ভ্যারিয়েন্টে কুমিল্লায় চার জনের করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক নারী...

ব্রাহ্মণপাড়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাড়িঘর নির্ম...
মোঃ আবদুল আলীম খানকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের ছোটধুশিয়া গ্রামে আদালতের নিষেধা...

তীব্র গরমে কুমিল্লায় জনজীবন বিপর্যস্ত স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে
নিজস্ব প্রতিবেদকচলতি জুন মাসের শুরু থেকেই কুমিল্লায় তাপমাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে অতিরিক্ত গ...

চান্দিনায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বহিষ্কার
সোহেল রানাকুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কানন-কে দলে...

নগরীতে কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান,...
নিজস্ব প্রতিবেদককুমিল্লার যুবলীগ কর্মী, কিশোর গ্যাং ও চোর-ছিনতাইকারি চক্রের সক্রিয় ১৫ সদ...
