প্রতিবেদক: Raisul Islam Shohag | ক্যাটেগরি: বৃহত্তর কুমিল্লা | প্রকাশ: 24 Oct 2025, 12:09 AM
কুমিল্লায় গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে বন্ধ হয়ে গেছে দু’শ খামার
নিজস্ব প্রতিবেদক
গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় কুমিল্লায় লোকসানে খামারিরা। গেলো ৬ বছরে বন্ধ হয়ে গেয়ে আড়াইশ খামার। যেসব বাড়িতে সকালের ব্যস্তা শুরু হতো গরুর জন্য ঘাস কাটা, গরুর গোছল করানো ও দুধ দোহন। সেসব বাড়ি ও খামারে এখন সুনশান নিরবতা। দুধ উৎপাদনে লোকসান গুনতে হয় বলে গৃহস্থ ও খামারীরা এখন অন্য পেশায় ঝুঁকছেন।
সরেজমিনে কুমিল্লা লালমাই উপজেলার দুধের গ্রাম হিসেবে পরিচিত ছিলোনিয়া গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, অল্প কিছু বাড়িতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারি ও গৃহস্থরা। অথচ বছর দশেক আগেও এটিসহ আশপাশের ১২টি গ্রামে ঘরে ঘরে এক সময় দুধ উৎপাদন হতো। গরু পালন, দুধ বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। ছিলোনিয়া গ্রামে আড়াই শতাধিক পরিবার দুধ উৎপাদন করতেন। তবে গো খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে লোকসানে পড়েন খামারিরা। এরপর অনেকে খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। শুধু এ গ্রামেই ৬ বছরে আড়াই শ খামারের মধ্যে ২০০টি বন্ধ হয়ে গেছে। দুধের গ্রাম হিসেবে পরিচিত ছিলোনিয়া এখন অনেকটা নীরব-নিস্তব্দ। এর পাশের গজারিয়া, হাপানিয়া, উৎসব পদুয়া, মাতাইনকোট, দোসারি চৌ, জামমুড়া, শাসনমুড়া, আটিটি, বাটোরা গ্রামেও এখন আর তেমন দুধ সংগ্রহ ও বিক্রির উৎসব হয় না।
স্থানীয়রা জানান, ছিলোনিয়া গ্রামে আগের মতো উৎসবের আমেজ নেই, অনেক খামার খালি পড়ে আছে। ছিলোনিয়া গ্রামের মোঃ হোসেন, আবুল মিয়াসহ অন্তত দশজন খামারী জানান, করোনার আগে পর্যন্ত ভালোই চলছিলো তাদের খামার। তারপরেই গো-খাদ্যর দাম বাড়তে থাকে। তবে সে তুলনায় বাড়েনি দুধের দাম। গড়ে এককেজি দানাদার খাবারের দাম ৭০-৮০ টাকা হলে এক কেজি দুধের দাম হয় ৬০-৭০ টাকা। লোকসান গুনতে গুনতে বন্ধ হয়ে যায় ওই এলাকার অন্তত দুইশ দুগ্ধ উৎপাদন খামার।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের কুমিল্লা জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল আজিজ জানান, ২০০৬ সালে ডেইরি ফার্ম শুরু হয় ছিলোনিয়া গ্রামে। ২০১৯ পর্যন্ত ভালো অবস্থা ছিল। ২০২০ সালে করোনার ধাক্কায় পিছিয়ে যায় দুগ্ধ উৎপাদন। গো খাদ্যের চেয়ে দুধের দাম কম হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েন খামারী ও গৃহস্থরা। ২৫০টি খামার থেকে এখন তা ৬০টিতে চলে এসেছে। সরকার দৃষ্টি না দিলে বাকি খামারিরাও হারিয়ে যাবেন।
কুমিল্লা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন জেলা জানান, খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুধের উৎপাদন কমেছে কুমিল্লায়। কুমিল্লা জেলায় দুধের বার্ষিক চাহিদা ৫.৩৪ লাখ মেট্রিক টন। উৎপাদন ৫.০৩ লাখ মেট্রিক টন। উৎপাদনে বাড়াতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ। খামারের বিদ্যুৎ বিল কৃষির আওতায় আনা এবং খাদ্যে ভর্তুকির বিষয়ে উপদেষ্টারা অবগত বলে জানান জেলা এই কর্মকর্তা।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
অন্যান্য খবর
জামায়াত আগামী একশ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না-এলডিপি মহাসচিব
সোহেল রানা, চান্দিনাএলডিপি মহাসচিব ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেছেন, “এ...
মুরাদনগরে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে স্বেচ্ছছাসেবক লীগের সভাপতি...
নিজস্ব প্রতিকেদক, মুরাদনগরকুমিল্লার মুরাদনগরে পুলিশের বিশেষ অভিযানের দ্বিতীয় দিনে উপজেলা স্বে”ছাসেবক...
নাঙ্গলকোটে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত
সাইফুল ইসলামনাঙ্গলকোট উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।...
মুরাদনগরে ব্রীজের পাটাতন ভেঙে ভোগান্তি রাতেই মেরামত করালেন...
নিজস্ব প্রতিকেদক, মুরাদনগরকুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরে গোমতী নদীর ব্রীজের পাটাতন ভেঙে গিয়ে ভোগান্ত...
মুরাদনগরে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
বেলাল উদ্দিন আহাম্মদ, মুরাদনগর গভীর শ্রদ্ধা ও বিনম্র ভালোবাসার মধ্য দিয়ে কুমিল্লা মুরাদনগরে যথা...
চান্দিনায় নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন
চান্দিনা প্রতিনিধিকুমিল্লার চান্দিনায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। উপজেলা প্...