প্রতিবেদক: Raisul Islam Shohag | ক্যাটেগরি: বৃহত্তর কুমিল্লা | প্রকাশ: 29 Jul 2025, 10:45 AM
নারীদের কর্মসংস্থানের দুয়ার খুলে দিয়েছেন বাঞ্ছারামপুরের স্কুল শিক্ষিকা মনিরা আক্তার
ফয়সল আহমেদ খান
সেলাই মেশিনে নিজের সৃজনশীলতার পরিচয় দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মনিরা আক্তার। শিক্ষকতার পাশাপাশি নারী অগ্রযাত্রায় রেখে চলছেন অনবদ্য ভূমিকা। দুয়ার খুলে দিয়েছেন নারীদের কর্মসংস্থানের।
স্কুল থেকে এসেই নান্দনিক ডিজাইনে পোশাকের ভিন্ন মাত্রা দেন মনিরা আক্তার। নিজে গড়ে তুলেছেন একটি প্রতিষ্ঠান। সেখানে তৈরি হচ্ছে নকশাখচিত সব পোশাক। সেলাই কাজসহ বিভিন্ন দক্ষতামূলক কাজে নারীদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন তিনি। আর এতে করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছেন কর্মমুখী নারীরা।
ইতালি প্রবাসী স্বামী সাইদুল ইসলাম প্রবাসে থেকেও একাজে যথেষ্ট উৎসাহ দেন বলেন জানান,মনিরা আক্তার। নিজের বিদ্যাকে সমাজে উজার করে চলছেন নারী অগ্রদূত মনিরা আক্তার। যেসব নারীর হাতের কাজে দক্ষ কিংবা ইচ্ছুক তারা চাইলেই যোগ দিতে পারছেন এই শিক্ষকের সাথে। সমাজে সব নারী প্রতিষ্ঠিত হোক এটাই চাওয়া তার।
মনিরা আক্তার বলেন, সমাজে এখনো অনেক নারীরা পিছিয়ে আছেন। সমাজের বোঝা হয়ে থাকার চাইতে নিজের পায়ে দাঁড়ানোটাই আত্মসম্মানের। অনেকেরই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে দক্ষতা আছে, কিন্তু সুযোগের অভাবে কাজে লাগাতে পারছেন না। তাদের সুপ্ত প্রতিভাকে তুলে ধরতেই আমি কাজ করছি। এতে করে নারীরা নিজেদের আয়ের পথ খুঁজে সংসারেরও ভূমিকা রাখতে পারবে।
এই নারী উদ্যোক্তা বলেন, গ্রামে নারীদের কর্মসংস্থানের এখনো তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয় নারীদের পথচলায়। তাদের সেই কাজকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তা ছড়িয়ে দিতে চাইছি। এতে করে পিছিয়ে পড়া নারীরা সাহস পাবে, সমান তালে এগিয়ে যাবে সমাজ ও রাষ্ট্র।
স্থানীয়মহল ও সহকর্মীদের কাছ থেকেও বেশ উৎসাহ পাচ্ছেন মনিরা। তারা বলেন, মনিরা আক্তারের এই উদ্যোগ এক সময় অনেক বড় প্রতিষ্ঠানে দাঁড়াবে। শিল্প আর কর্মের মাধ্যমে বাঞ্ছারামপুরের এক দৃষ্টান্ত হবে এমন ভাবেই এগিয়ে চলছেন তিনি। দূর-দূরান্ত থেকে আসবেন নারীরা, শিখবেন কাজ, বদলে যাবে নারীদের ভাগ্য।
প্রশিক্ষণ নিতে আসা এক তরুণী বলেন, টুকটাক কিছু কাজ পারতাম আগে। কিন্তু তা করার কোনো প্রতিষ্ঠান বা সুযোগ ছিল না। এখন হাতের কাছেই মনিরা আপার প্রতিষ্ঠান পেয়েছি। আরো অনেক কিছু শিখছি এবং আয় করতে পারছি। এক গৃহবধূ জানান, হাতের কাজ করে এখন তিনি তার ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারছেন এখান থেকেই। এমন কাজের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
অন্যান্য খবর
কীভাবে হবে মীমাংসা
গণভোট ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য অন্তর্ব...
চান্দিনা স্টেডিয়াম মাঠে এখন ছাগল চরে সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে...
সোহেল রানাকুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ক্রীড়াপ্রেমীদের প্রাণকেন্দ্র ছিল চান্দিনা সরকারি মডেল পাইলট উচ্...
ব্রাহ্মণপাড়ায় শিশু আরসিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা, বড় বোন...
মো. আনোয়ারুল ইসলামকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা। রাগের বশে নিজের ছোট...
দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে ব্রাহ্মণপাড়ায় প্রাথমিক শিক্ষকদের...
মো. আনোয়ারুল ইসলামদশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায় ও রাজধানীর শাহবাগে শিক্ষক আন্দোলনে পুলিশের হামলার প্...
সদর দক্ষিণে সিএনজি উল্টে শিক্ষক নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক, সদর দক্ষিণকুমিল্লা সদর দক্ষিণের রতনপুরে সিএনজি চালিত অটোরিকশা উল্টে মাহবুবুল হক ভু...
কুমিল্লা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
কুমিল্লায় জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার ৯ নভেম্বর সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাস...